মহান আল্লাহ তায়ালা আত্মশুদ্ধির গুরুত্ব বোঝানোর জন্য সাতটি জিনিসের শপথ করে বলেন, ‘সে-ই নিজেকে শুদ্ধ করবে যে সফলকাম হবে এবং সে-ই ব্যর্থ হবে যে নিজেকে কলুষিত করবে।’ (সুরা আশ শামস আয়াত ৯-১০)। মানবতার মুক্তিদূত মহানবী (সা.) এর ২৩ বছরের অন্যতম কর্মসূচি ছিল মানব জাতিকে আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে পূতপবিত্র করে তাদের আল্লাহর পরিচয় দান করা। আল্লাহ তায়ালা মহানবী (সা.)-কে আত্মশুদ্ধির মহান দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেছিলেন।

মহান প্রভু ঘোষণা করেন, ‘আল্লাহ মুমিনদের প্রতি অবশ্যই অনুগ্রহ করেছেন, তিনি তাদের মধ্য থেকে তাদের জন্য একজন রসুল পাঠিয়েছেন। যে তাঁর আয়াতগুলো তাদের কাছে তিলাওয়াত করে, তাদের পরিশুদ্ধ করে এবং কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেয়, যদিও তারা আগে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে ছিল।’ সুরা আলে ইমরান আয়াত ১৬৪। মহানবী (সা.) ইরশাদ করেন, ‘অবশ্য অবশ্যই মানবদেহে একটি মাংসপিণ্ড আছে, তা সুস্থ থাকলে গোটা দেহ সুস্থ থাকে, তা হলো আত্মা।’ ইবনে হিব্বান। প্রতিটি মানুষের আত্মা সংশোধন হলে গোটা সমাজ আদর্শ সমাজে পরিণত হবে। এই আত্মশুদ্ধির শিক্ষাই রাসুল (স) সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছেন।